April 29, 2024, 8:15 am

সংবাদ শিরোনাম :
চোরাচালান লাইনম্যান রুবেল আহমদ বেপরোয়া জমির ধান নষ্ট করে দিলো প্রতিপক্ষ: দিশেহারা কৃষক সিলেটে ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেঙ্ককারী বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী সুজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মাওলানা লুৎফুর রহমানের মৃত্যু ”গুজব সংবাদ ফেসবুকে” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সচিবদের :প্রধানমন্ত্রীর বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক : কবি নুরুল হুদা দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের ৪ সদস্য বহিষ্কারের অভিযোগ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া বিছানাকান্দি সীমান্তে অবৈধ পথে ঢুকছে ভারতীয় গরু :নেপথ্যে গোলাম হোসেন! বাদাঘাট মসজিদে ৫ লাখ টাকার অনুদান দিলেন সেলিম আহমদ এমপি রতনের আশীর্বাদ : যাদুকাটা গিলে খাচ্ছে রতন-মঞ্জু গোয়াইনঘাটে স্কুলের নামে প্রবাসীর জমি দখল গোয়াইনঘাটে এক শিবির নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ  সিলেটে শেখ হাসিনার প্রথম সফর স্মরণ করে আবহবিচ’র দু’আ মাহফিল শেখ হাসিনার সিলেট শুভাগমণের ৪৩ বছর সোমবার সিলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক এমপির আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নির্বাচিত সুনামগঞ্জের গোলাম আজম তালুকদার দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মোখা:‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নির্বাচনের ৪ দিন আগে নতুন যে প্রতিশ্রুতি দিলেন এরদোগান উত্তাল পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘটত না: ট্রাম্প কী হচ্ছে, আর কী হবে তা সময়ই বলে দেবে: অপু বিশ্বাস
রাতারগুলের পর সিলেটের নতুন পর্যটন স্পট কানাইঘাটের কাঁঠালবাড়ী

রাতারগুলের পর সিলেটের নতুন পর্যটন স্পট কানাইঘাটের কাঁঠালবাড়ী

Please Share This Post in Your Social Media

20677183_1581991645198242_183627424_oলালমাটি, গাছগাছালি, পাখপাখালি, খালবিল, পাল তুলা নৌকায় মানুষের যাতায়াত, জেলেদের মাছ ধরা, সাড়ি-সাড়ি হাঁসের অবাধ বিচরণ, স্বচ্ছ সাদা পানি, পানিতে শাপলা ফুল , পানির উপরে নীল আসমান, চারিদিকে থৈ থৈ পানি, পানির মাঝে হিজল গাছ, কনচ গাছ, চতুর্দিকে উচু নিচু টিলা, টিলার বুকে ছোট-বড় বাড়ী, আছে টিলার মাঝে কাটাল গাছ, পেয়ারা গাছ,আম গাছ এ সব মিলিয়ে এক একটা টিলা যেন একেকটা আলাদা আলাদা রাজ্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যেন এক অপরুপ লীলাভূমি। এ যেন এক নয়নকাড়া দৃশ্য। কি বুঝতে পারছেন কার কথা বলছি, কোন স্থানের কথা বলছি? চিন্তা করছেন এমন স্থান আবার কোথায়? হ্যা বলছি, সেটা ‘‘কাঁঠালবাড়ী”। ভাবছেন সেটা আবার কোথায়? সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে এই কাঁঠালবাড়ীর অবস্থান।
নিঝুম ঝকঝকে সকাল। তটিনীর কূলে ডেকে যায় একলা ডাহুক। এমন সকালে শুধু নৌকার বৈঠা আর ইঞ্জিনের শব্দ করছে ছলাৎ ছল ছলাৎ ছল। এমনই এক ঘোর মাখা সময়েই ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম সিলেটের বড় হাওরদ্বীপ নামে পরিচিত কাঁঠালবাড়ী।
কক্সবাজার, সুন্দরবন ও কোয়াকাটার মধ্যে আটকে থাকা এদেশের পর্যটন শিল্প তরুণ পর্যটকদের হাত ধরে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের নানা প্রান্তে। দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্রের। বিশেষ করে সিলেটের কথাই যদি বলি তবে এইতো কিছুদিন আগে উন্মোচিত হওয়া রাতারগুল, বিছনাকান্দি, মায়াবন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। পাহাড়ে বা গহীন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা সুন্দর্য্যর খুঁজে প্রতিনিয়ত ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন তরুণ পর্যটকরা, সন্ধান করছেন নতুন নতুন পর্যটন স্পটের। তারাই আবিস্কার করছেন নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র। যা ধীরে ধীরে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করে তুলছে। এমনি এক পর্যটন কেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছেন কানাইঘাটের কিছু সৃষ্টিশীল তরুণরা। তারা খুঁজে পেয়েছেন সিলেটের আরেক রাতারগুল কাঁঠালবাড়ী। রাতারগুল আর কাঠালবাড়ীর মধ্যে রয়েছে অনেকটা মিল। মিল রয়েছে উপজেলার নামের মাঝেও। রাতারগুলের অবস্থান সিলেটের গোয়াইঘাট আর কাঁঠালবাড়ীর অবস্থান সিলেটের কানাইঘাট। শুধু যে ঘাটে ঘাটেই মিল তা নয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও রাতারগুল থেকে কম নয় কানাইঘাটের কাঁঠালবাড়ীর সৌন্দর্য। যে কাঁঠালবাড়ীতে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি সেই কাঁঠালবাড়ীর প্রত্যকটি টিলা সত্যিই যেন আলাদা আলাদা একটি রাজ্য, একেকটি যেন আলাদা আলাদা দ্বীপ। যেখানে নেই কোন যাতায়াত ব্যবস্থা, নেই কোন শিক্ষাব্যবস্থা, নেই কোন সরকারী সুযোগ-সুবিধা। আছে শুধু ভ্রমনকারীদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিটানোর অপরূপ দৃশ্য। অনিন্দ্যসুন্দর বিশাল এ কাঁঠলবাড়ীর সঙ্গে অবশ্যই তুলনা চলে সিলেটের রাতারগুলের। কোন অংশেই যেন কম নয় কাঁঠালবাড়ী।

বর্ষায় বড়ই অদ্ভুত এই জলের রাজ্য। কোনো গাছের কোমর পর্যন্ত ডুবে আছে পানিতে। একটু ছোট যেগুলো, সেগুলো আবার শরীরের অর্ধেকই ডুবিয়ে আছে জলে। কোথাও চোখে পড়বে মাছ ধরার জাল পেতেছে জেলেরা। ঘন হয়ে জন্মানো গাছপালার কারণে কেমন যেন অন্ধকার লাগবে টিলাগুলো। মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা আটকে দিবে পথ। হাত দিয়ে ওগুলো সরিয়ে পথ চলতে হয়। জলের নিচের অপূর্ব জগত। বর্ষায় হাওরের স্বচ্ছ পানির নিচে ডুবে থাকা গাছগুলো দেখার অভিজ্ঞতা অপূর্ব।
কাঁঠালবাড়ী টিলায় ঢুকতে হয় ডিঙি নৌকায় চেপে। নৌকা একবার বনে ঢুকলেই আর কথা নেই ! দুটি মাত্র শব্দ লাগবে আপনার ভাব প্রকাশের জন্য, আপনি হয় তো বলে উঠবেন- “আমি মুগ্ধ”! ইট পাথরের শহর ছেড়ে বারবার যেতে মন চাইবে এমন স্থানে।
কানাইঘাটের রাজাগঞ্জের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে গত ৪ আগষ্ট ২০১৭ ইংরেজী কাঁঠালবাড়ী পর্যবেক্ষণে গেলে সেখানকার দৃশ্য নজর কাড়ে। আমরা ৩০জনের একটি টিম সেখানে গিয়েছিলাম, স্বচক্ষে দেখে আসলাম আমাদের সম্ভাবনাময় কাঁঠালবাড়ীকে। শুক্রবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটের দিকে আমরা রাজাগঞ্জ বাজার হতে রওয়ানা দেই। পারকুল রাস্তা হয়ে আতলার পাহাড় গ্রামের ভিতর দিয়ে কিছুটা আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে যাবার পথে নয়ামাটি গ্রামের লাল মাটি আপনাকে কিছুটা অবাক করে দিবে। ৩০মিনিটের মতো হেটে আমরা পারকুল গ্রামের পিছনে যাই।
যেখানে শুরু হাওর। সেই হাওরে নৌকা যোগে রওয়ানা দেই কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশ্য। নৌকা চলার পথটাও অনেকটা আঁকাবাঁকা। আঁকাবাঁকা খালের পথ দিয়ে চলছে নৌকা। সেই সাথে চলছে আঞ্চলিক গানের পরিবেশনা।
প্রায় ৪০ মিনিট নৌকা ভ্রমণ করে আমরা পৌছি আমাদের কাংখিত কাঁঠালবাড়ী। স্বচ্ছ পানিতে ঝাপ মেরে নেমে পড়ে আমাদের অভিযাত্রী দলের সদস্যরা। তারা পানিতে পড়ে মনের আনন্দে সাতারকাটে। এ সময় তারা হারিয়ে যায় শৈশবে। ফিরে পায় তাদের প্রাণ চাঞ্চল্য। স্মৃতিচিহ্ন ধরে রাখতে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সবাই। এরপর চলে আসে জুম্মার সময়। কাঁঠালবাড়ী মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে করা হয় মতবিনিময়। এ সময় স্থানীয়রা আমাদের ভ্রমণ সম্পর্কে জেনে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা বলেন , আমাদের কেউ খোঁজ খবর নেন না, আমরা সম্পুর্ণ একটি আলাদা রাজ্য হিসেবে বসবাস করছি। আমাদের নেই কোন শিক্ষাপ্রতিষ্টান, নেই কোন বাজার খরছ করার মাধ্যম। নেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। নেই কোন প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা। একটি মাত্র আনন্দ স্কুল ছিল তাও কেটে নেওয়া হয়েছে। এখন বাচ্চাদের শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম মসজিদের মক্তব। স্থানীয় হেলাল আহমদ বলেন, আমরা একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারলে, আমরা আনন্দ স্কুলের ব্যবস্থা করে দিতে পারব। এর জন্য সরকারী পদক্ষেপ খুবই দরকার। এখানকার মানুষের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম কৃষি ও মৎস চাষ। এখান থেকে প্রতিবছর সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকে। বিলগুলো অনেক টাকা নিলাম হয়। বড় হাওর তো প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মতো নিলাম হয়।
উপস্থিত স্থানীয় সকল জনগণ কাঁঠালবাড়ীকে একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে অত্র অঞ্চল অনেক লাভবান হবে বলে তারা মন্তব্য করেন। অতঃপর আমরা আবারো ঘুরতে শুরু করি। এক বাড়ী থেকে আরেক বাড়ী যাবার একমাত্র মাধ্যম ডিঙ্গি নৌকা। প্রত্যেকটি বাড়ীর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা নৌকা। এ নৌকা দিয়েই প্রয়োজনীয় সব কাজ করতে হয় তাদের। প্রতিটি টিলায় ঘুরলে মনে হবে এ যেন এক ভাল লাগার অন্য জগত। মন খারাপ হলে কিংবা পরিবার পরিজন নিয়ে একটু রিলাক্সের জন্য যেতে পারেন সেথায়।
নামকরণ: বৃটিশ আমল থেকেই কাঁঠালবাড়ীতে জনগণের বসবাস। তবে এরা কেউই এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। বিভিন্ন স্থান থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আসা লোকজন এখানে বসতী গড়ে তুলেছেন। বিশেষ করে রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের তালবাড়ী, বীরদল গ্রামের লোকজন সেখানে বসতী স্থাপন করেন। কেননা কাঁঠালবাড়ীতে এ দুগ্রামের জমি ছিল বেশি। পরবর্তীতে তাদের অনুসরণ করে অনেকই সেখানে পাড়ি জমান। তখন কাঁঠালবাড়ী এক একটি টিলায় ২৫-৩০টি কাঁঠালগাছ ছিল। সেই কাঁঠাল গাছের নামেই এখানকার নাম হয়েছে কাঁঠালবাড়ী। যদিও বর্তমানে আগের মতো আর কাঁঠাল গাছ নেই।
ভৌগলিক অবস্থান: রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন রোড সংলগ্ন রাজাগঞ্জ বাজার থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাঁঠালবাড়ী। আবার কাঁঠালবাড়ী থেকে সিলেটের হরিপুরের দুরত্ত মাত্র ৫ কিলোমিটার। কাঁঠালবাড়ীর পশ্চিম অংশে বড়হাওর, পূর্ব অংশে কালিজুড়ী, উত্তরে বেতকান্দি হরিপুর, দক্ষিণে রওয়া এবং রাঙ্গাউটি বিল।
যাতায়াত: সিলেট নগরী থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন রোড হয়ে রাজাগঞ্জ যেতে হয়। রাজগঞ্জ ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন রোড সংলগ্ন রাজাগঞ্জ বাজার থেকে গাজীপুর রাস্তা অথবা পারকুল রাস্তা হয়ে নৌকা যোগে পাড়ি দিতে হয় কাঁঠালবাড়ীতে। রাজাগঞ্জ থেকে গ্রামের আঁকা-বাঁকা রাস্তা দিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট হেটে ইঞ্জিন নৌকা অথবা ডিঙ্গি নৌকায় পাড়ি দিতে হয় কাঁঠালবাড়ীতে। অথবা সিলেট নগরী থেকে হরিপুর হয়ে যাওয়া যায় কাঁঠালবাড়ী। এছাড়াও কানাইঘাট সদর থেকে গাছবাড়ী হয়ে বিভিন্ন পথে সেখানে যাওয়া যায়। গাছবাড়ী নারাইনপুর গ্রাম থেকে নৌকা যোগে, বাঁঁশবাড়ী থেকে নৌকা যোগে, শহরউল্লাহ হয়ে কাপ্তানপুর গ্রাম থেকে নৌকা যোগে যেতে পারবেন কাঁঠালবাড়ী। তবে বর্ষাকালে নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ছাড়া নৌকা পাওয়া যায় না। সেখানে যেতে হলে স্থানীয়দের সাথে আগেই কথা বলে নৌকার ব্যবস্থা করতে হবে।
জনবসতী: কাঁঠালবাড়ীতে রয়েছে ৩০টির মত টিলা এরমধ্যে ১৫-১৬টি টিলার মধ্যে বসবাস করে প্রায় ২৫টি পরিবার। কোন কোন টিলায় একটি মাত্র পরিবার আবার কোন কোন টিলায় ৩টি, ৪টি, ৫টি পরিবারও বসবাস করছেন। প্রায় ২০০ জন জনসংখ্যা, ৮০ জনের মত ভোটার, লুন্টির পাহাড় এবং কুচিয়া নামে ২টি মৌজা নিয়ে কাঁঠালবাড়ী অবস্থান। স্থানীয়দের তথ্যমতে- এই কাঁঠালবাড়ীর আয়তন তিন কিলোমিটার।
বৃটিশ আমল থেকে কাঁঠালবাড়ীতে মানুষের বসবাস হলেও আজ পর্যন্ত নেই কোন উন্নয়নের ছোঁয়া। রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের অধিভুক্ত এই কাঁঠালবাড়ীতে কোন জনপ্রতিনিধি জান না বলেই চলে। স্থানীয় ৯০ বছর বয়সের মৌলানা আব্দুল মুকিত বলেন, আমরার ইবায় কোন মেম্বার, চেয়ারম্যান আইন না। আমরার ইতা কেউ দেখেনা।
কাঁঠালবাড়ী কে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলা খুবি জরুরী। এ জন্য প্রয়োজন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, সরকারের সার্বিক সহযোগিতা। তবে আমরা মনে করি স্থানীয় সরকার যদি উদ্যোগ গ্রহণ করেন তবে সরকার অবশ্যই এগিয়ে আসবেন। কেননা বর্তমান সরকার পর্যটন শিল্পকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই এখনি সময় এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের।

তবে সতর্কঃ
কাঁঠালবাড়ী বা তার আশপাশে খাবারের হোটেল বা থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই খাবার রাজাগজ্ঞ বা সিলেট থেকে নিয়ে যেতে পারেন।
আরেকটা বিষয়, নৌকায় করে বেড়ানোর সময় পানিতে হাত না দেয়াই ভালো। জোঁকসহ বিভিন্ন পোকামাকড় তো আছেই, বর্ষায় বিষাক্ত সাপও পানিতে দেখতে পাওয়া যায় । সাঁতার না জানলে সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখা জরুরি।
এ ছাড়া ছাতা, বর্ষাতি কিংবা রোদ টুপিও সঙ্গে নিতে হবে। আরেকটি কথা- পলিথিন, বোতল, চিপসের খোসা, বিস্কুটের খোসা ইত্যাদি জিনিস পানিতে ফেলবেন না দয়া করে। আমাদের নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। ভ্রমণ শুভ হোক!

 





Calendar

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd